কমলগঞ্জ প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে চৈত্রঘাট বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা নাজমুলকে হত্যা করতে তিন মাস আগে থেকেই রেকি করা হচ্ছিল বলে পুলিশকে জানিয়েছে প্রধান আসামি তফাজ্জুল আলী।
মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ জাকারিয়া। তিনি বলেন, প্রধান আসামি তফাজ্জুল আলী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ কথা তাদের জানিয়েছে। তিনি হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকারও করেছেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ বি এম মুজাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে রাজধানীর কমলাপুর থেকে তাকে এক সহযোগীসহ রাজধানীর কমলারপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসপি জানান, তফাজ্জুল আলীর ওই সহযোগীর নাম খালেদ মিয়া। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুবাই যাওয়ার টিকিট, পাসপোর্ট, মোবাইল, সিম ও দেশি-বিদেশী টাকা উদ্ধার করা হয়।
এ নিয়ে এজাহারভুক্ত ৩ আসামিসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হলো জানিয়ে এসপি বলেন, এই মামলায় জুয়েল মিয়া ও আমির হোসেন নামে দুই আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। জুয়েলের সঙ্গে যুবলীগ নেতা নাজমুলের বিরোধ ছিল। ২০২০ সালে নাজমুলের হামলায় তিনি পঙ্গু হয়ে যান বলে অভিযোগ রয়েছে। নাজমুল হত্যার একটি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ মঙ্গলবার ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা যায়, কালো একটি মাইক্রোবাসে করে এসে ৯ ব্যক্তি নাজমুলকে ধাওয়া দেয়। এক পর্যায়ে নিজের বাড়ির সামনে এসে মাটিতে পড়ে যান তিনি। এই সুযোগে নাজমুলকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফেলে যায় ওই ৯ জন। সিসিটিভি ক্যামেরাটি নাজমুলের অফিসে লাগানো ছিল। রোববার দুপুর ২টার দিকে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত নাজমুলের মৃত্যু হয় সিলেটের একটি হাসপাতালে সন্ধ্যা ৭টার দিকে।
বিএ/৪ নভেম্বর